রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

টীকাঃ কৌশলগত ব্যবসায় একক

কোশলগত ব্যবসায় এককঃ একটি কোম্পানীর প্রধান ব্যবসায় গঠন কাঠামোতে যতগুলো একক থাকে তার প্রত্যেকটি একককে পৃথক পৃথক ভাবে কৌশলগত ব্যবসায় একক বলে। কৌশল গত ব্যবসায় একক কোম্পানীর একটি বিভাগ এবং একটি বিভাগের মধ্যে একটি মাত্র পণ্য সারি অথবা একটি মাত্র ব্র্যান্ড নিয়ে গঠিত হহয়ে থাকে।
Philip Kotler এবং Gary Armstrong বলেন, "কৌশলগত ব্যবসায় একক হচ্ছে কোম্পানীর একটি একক যার পৃথক মিশন ও উদ্দেশ্য আছে এবং যার জন্য কোম্পানীর অন্যান্য ব্যাবসায় থেকে স্বাধীনভাবে পরিকল্পনা করা যায়।"
Keller এবং Kotler বলেন, "কৌশলগত ব্যবসায় একক হচ্ছে একটি একক ব্যবসায় বা সম্পর্কযুক্ত ব্যবসায়ের সমষ্টি যার জন্য কোম্পানীর অন্যান্য ব্যবসায় থেকে পৃথক পরিকল্পনা করা যায়।"

Evans এবং Berman বলেন, "কৌশলগত ব্যবসায় একক হচ্ছে একটি সংগঠনের পৃথক পরিচালনা একক।"
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনায় বলা যায় যে, কৌশলগত ব্যবসায় একক হচ্ছে একটি পণ্য বা সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি পণ্য যাদের জন্য পৃথক কৌশল গ্রহণ করা যায় এবং যাদের নিজস্ব প্রতিযোগি ও ব্যবস্থাপক আছে।

টীকাঃ বন্টন প্রণালী দ্বন্দ্ব

টীকাঃ বন্টন প্রণালী দ্বন্দ্বঃ প্রতিষ্ঠানের বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য নির্বাচিত বণ্টন প্রণালীর লাগাতার সহযোগিতা লাভের জন্য দক্ষতার সাথে তা পরিচালনা করা প্রয়োজন। অনেক সময় বণ্টন প্রণালীর বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যায়। বণ্টন প্রণালীতে বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হলে তাকে বণ্টন প্রণালী দ্বন্দ বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায়, বণ্টন প্রণালীর বিভিন্ন সদস্য যখন একে অপরের সংগে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় তখন তাকে বন্টন প্রণালী দ্বন্দ্ব বলে।
ফিলিপ কটলার এবং গ্যারী আর্মস্ট্রং বলেন, "প্রণালী দ্বন্দ্ব হচ্ছে লক্ষ ও ভূমিকা নিয়ে বাজারজাতকরণ প্রণালী সদস্যদের মতানৈক্য -কি করা উচিৎ এবং কিসের বিনিময়ে।"
J. Skinner বলেন, "প্রণালী দ্বন্দ্ব হচ্ছে বাজারজাতকরণ প্রণালী সদস্যদের মধ্যে বিরোধ যা প্রায়শই একজন সদস্যের ভূমিকা থেকে বিচ্যুতি বা স্বাভাবিক কাজ না করার কারনে ঘটে থাকে।
সুতরাং বলা যায় যে, বন্টন প্রণালীর অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের মধ্যে পারষ্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতানৈক্য বা দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য দেখা দিলে তাকে প্রণালীর দ্বন্দ্ব বলা হয়।

টীকাঃ মিশন

মিশন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি যা ব্যবস্থাপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিক নির্দেশনা প্রদান করে।
এ প্রসঙ্গে ফিলিপ কটলার এবং গ্যারী আর্মস্ট্রং বলেন, "বৃহত্তর পরিবেশে প্রতিষ্ঠান কি করতে চায়, সে সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যের বিবৃতিকে মিশন বলে।"
প্রতিষ্ঠানের উচিৎ সুস্পষ্টভাবে মিশন ডিজাইন করা। কারণ সুস্পষ্ট মিশন ছাড়া উদ্দেশ্য ও কৌশল উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি সুস্পষ্ট মিশন বিবৃতি "অদৃশ্য হাতের" ন্যায় কাজ করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দিক-নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।

টীকাঃ ভোক্তাবাদ, পরিবেশবাদ, ভোক্তাই রাজা

ভোক্তাবাদঃ যে সংগঠিত আন্দোলনের ফলে সরকার ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন আইন করেন এবং ভোক্তাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেন তাকে ভোক্তাবাদ বলে।
উইলিয়াম জে. স্ট্যান্টনের মতে, "বিনিময় সম্পর্কের ফলে ভোক্তা অসন্তুষ্টির প্রতি কোন ব্যক্তির কার্য প্রতিক্রিয়াকে ভোক্তাবাদ বলে।
Bovee এবং Thill বলেন, "ক্রেতাদের নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণের জন্য সংগঠিত সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলনকে ভোক্তাবাদ বলে।"
Steven J. Skinner বলেন, "Consumerism consists of all the activities undertaken by independent individuals, groups and organizations to protect their rights as consumers."
সুতরাং বলা যায় যে, নাগরিক, সরকারি সংস্থা, ব্যক্তিগত ভোক্তা, দল বা সংগঠন কর্তৃক ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গৃহীত কার্যক্রম বা আন্দোলনকে ভোক্তাবাদ বলে।
পরিবেশবাদঃ  পরিবেশবাদ হচ্ছে এমন ধরনের আন্দোলন যার সাহায্যে সমাজের মানুষকে পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়।
ফিলিপ কটলার এবং গ্যারী আর্মস্ট্রং বলেন, "মানুষের বাসযোগ্য পৃথিবীর পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সচেতন নাগরিক, জনগণ, ব্যবসায়িক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গগঠিত আন্দোলনকে পরিবেশবাদ বলে।"
 Cunningham এবং Saigo বলেন, "পরিবেশবাদ হচ্ছে পরিবেশ দূষণ ও সম্পদ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সক্রিয় অংশগ্রহণ।"
সুতরাং বলা যায়, পরিবেশ বাদ হচ্ছে একটি আন্দোলন যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।

ভোক্তাই রাজাঃ- বর্তমানে ভোক্তাদের রুচি, পছন্দ, চাহিদা, ক্রয় ক্ষমতা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করা হয় এবং একই সাথে ভোক্তাদের সন্তুষ্টি বিধানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে মনে করা হয় যে, ভোক্তাদের সন্তুষ্ট না করলে দীর্ঘদিন ব্যবসায় টিকে থাকা যাবে না।এজন্য বাজারজাতকরণের সর্বত্র ভোক্তাদের গুরুত্ব প্রদান করা হয়। বাজারজাতকরণে ভোক্তারা যে রাজা এ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
১। বাজারজাতকরণ মতবাদঃ আধুনিক বাজারজাতকরণ  মতবাদে মনে করা হয় যে, ভোক্তাদের সন্তুষ্ট করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানের অস্তিস্ব বিপন্ন হবে। অর্থাৎ ভোক্তারাই এখানে কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে।
২। বাজারজাতকরণ মিশ্রণঃ ভোক্তাদের কথা চিন্তা করেই বাজারজাতকরণ মিশ্রণগুলো ডিজাইন করা হয়। এজন্য ভোক্তাদেরকে বাজারজাতকরণের মিশ্রণের কেন্দ্র বিন্দুতে রাখা হয়।
৩। বাজার বিভক্তিকরণঃ বাজার বিভক্তিকরণে ভোক্তাদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে তাদের উপযোগি বাজারজাতকরণ মিশ্রণ উন্নয়ন করা হয়। এক্ষেত্রে ভোক্তা ও ভোক্তার সন্তুষ্টি গুরুত্ব পায়।
৪। বাজারজাতকরণ পদ্ধতির লক্ষঃ বাজারজাতকরণ পদ্ধতির চারটি লক্ষ রয়েছে। বাজারজাতকরণ পদ্ধতির চারটি লক্ষের প্রতিটিতেই ভোক্তা গুরুত্ব পেয়েছে।
৫। ভোক্তাবাদঃ ভোক্তাবাদে ভোক্তাদের বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়। সেসব অধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা সন্তুষ্টি বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।
৬। প্রাতিষ্ঠানিক দিকঃ ভোক্তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত না হয় এজন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সেসব প্রতিষ্ঠান থেকেও ভোক্তারা সহায়তা পাচ্ছে।
উপরোক্ত আলোচনায় দেখা যাচ্ছে যে, সমস্ত বাজারজাতকরণ কর্মকান্ডের কেন্দ্রে রয়েছে ভোক্তা বা ভোক্তার সন্তুষ্টি। এ কারণে বাজারজাতকরণে ভোক্তাদের রাজা হিসেবে গণ্য করা হয়।


বাজার অনুসারী/মার্কেট নীচার।। মার্কেট নীচারের কৌশল

বাজার অনুসারী/মার্কেট নীচার।। মার্কেট নীচারের কৌশল

লক্ষস্থিত বাজারে ভূমিকা রাখার প্রেক্ষিতে কোম্পানীগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। বাজার কোটারী উহাদের মধ্যে অন্যতম। প্রায় প্রত্যেক শিল্পে বা ব্যাবসায়ে কিছু প্রতিষ্ঠান থাকে যারা বাজারের ক্ষুদ্র কোন অংশকে লক্ষ করে তাদের বাজারজাতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এদেরকে বাজার কোটারী বলা হয়। এরা বাজারের উক্ত নির্দিষ্ট অংশ সম্পর্কে বিশেষায়িত থাকে এবং প্রধান প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনরুপ বিরোধে যায় না।
Kotler এবং Keller বলেন, "বাজার কোটারী সেসব ক্ষুদ্র বাজার বিভাগকে সেবা প্রদান করে যেখানে বৃহত প্রতিষ্ঠানেরর সেবা পৌছায় না।"
Philip Kotler এবং Gary Armstrong বলেন, "Market nicher is a firm in an industry that serves small segments that other firms overlook or ignore."
বাজার কোটারী শুধু ছোট কোম্পানীই নয় বরং বড় কোম্পানীও হুতে পারে, যদি সে বাজার কোটারীর মত ভূমিকা পালন করে।
সুতরাং বলা যায় সে সকল কোম্পানী, সে ছোট হোক বা বড়ই হোক, বাজারের ক্ষদ্র গোষ্ঠীর জন্য পণ্য বা সেবা বাজারজার করে এবং বাজার নেতার সাথে কোনরুপ বিরুধে জড়ায় না তাকে বাজার কোটারী বা মার্কেট নীচার বলে।

বাজার কোটারীর কৌশলঃ
বাজার কোটারী কিভাবে একটি লাভজনক কোণ খুজে পায় এবং উন্নয়ন করে তা নম্নে বর্ণনা করা হলঃ
১। চূড়ান্ত ব্যবহার বিশেষজ্ঞঃ কোটারী ফার্ম যে কোন ধরনের চূড়ান্ত ব্যবহারকারী ক্রেতার ব্যাপারে  

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

প্রস্তাবের সংজ্ঞা

প্রস্তাবের সংজ্ঞাঃ সাধারণ অর্থে, কোন ব্যক্তি কর্তৃক অপর ব্যক্তির নিকট সম্মতি লাভের উদ্দেশ্যে কোন কিছু করা বা না করার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশকে প্রস্তাব বলা হয়।
বাংলাদেশে বলবতযোগ্য ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ২ (ক) ধারায় বলা হয়েছে যে, "যখন কোণ ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির সম্মতি লাভের উদ্দেশ্যে কোন কিছু করা বা না করা হতে বিরত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে তখন পূর্বোক্ত ব্যক্তি শেষোক্ত ব্যক্তির নিকট একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে বলে ধরা হয়।"
দৃষ্টান্তঃ ক, খ-এর নিকট তার বাড়ীটি ১ লক্ষ টাকায় বিক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে ক, খ-এর নিকট একটী প্রস্তাব করেছে বলে ধরা হবে। খ এতে স্বীকৃতি দিলে চুক্তির সৃষ্টি হবে।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর সংজ্ঞা

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর সংজ্ঞাঃ- সাধারণভাবে যে কোম্পানীর সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন দুই জন এবং সর্বোচ্চ পঞ্চাশজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং যার শেয়ার অবাধে হস্তান্তর করা যায় না তাকে প্রাইভেট মিলিটেড কোম্পানী বলে।
১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের ২ (১-ট) ধারায় বলা হয়েছে যে, "প্রাইভেট মিলিটেড কোম্পানী বলতে এমন কোম্পানিকে বুঝাবে যা তার নিয়মাবলী অনুসারে শেয়ার হস্তান্তরের অধিকার সীমাবদ্ধ রাখে, কোম্পানীর চাকরিতে নিযুক্ত কর্মচারী ব্যতিত এর সদস্য সংখ্যা পঞ্চাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে এবং শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান নিষদ্ধ থাকে"।

পরিমেল নিয়মাবলীর বিষয়বস্তু

পরিমেল নিয়মাবলীর বিষয়বস্তুঃ পরিমেল নিয়মাবলী হল কোম্পানীর দ্বিতীয় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এতে কোম্পানীর আভ্যন্তরীণ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় বিষয়াদি বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ থাকে। পরিমেল নিয়মাবলীর অন্তুর্ভূক্ত বিষয়সমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  1.           কোম্পানীর পূর্ণ নাম।
  2. কোম্পানীর দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা ও ব্যাবস্থাপনার নিয়মাবলী।
  3. পরিচালক ও ব্যবস্থাপক পরিচালকের নাম ঠিকানা ও পেশা।
  4. পরিচালক ও ব্যবস্থাপক পরিচালকের দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার ও ক্ষ্মতা।
  5. পরিচালকদের যোগ্যতাসূচক শেয়ারের সংখ্যা ও মূল্য।
  6. পরিচালকের সংখ্যা।
  7. পরিচালকদের পারিশ্রমিক।
  8. ব্যবস্থাপক ও সচিব নিয়োগ পদ্ধতি।
  9. অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ।
  10. পরিচালকদের অবসর গ্রহণ, দায়িত্ব অব্যাহতি।
  11. মোট শেয়ারের সংখ্যাও শ্রেণীবিভাগ।
  12. প্রতিটি শেয়ারের মূল্য।
  13. শেয়ার বিক্রয় পদ্ধতি।
  14. শেয়ারের মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি।
  15. শেয়ার বিক্রির কমিশন।
  16. শেয়ার বাজেয়াপ করার শর্তাবলী ও নিয়মাবলী।
  17. শেয়ার হস্তান্তরের নিয়মাবলী,
  18. ঋণ গ্রহণ পদ্ধতি।
  19. মূলধন পরিবর্তনের নিয়মাবলী।
  20. সভা আহ্বান পদ্ধতি।
  21. সভা পরিচালনা পদ্ধতি।
  22. সভায় ভোট গ্রহণ করার পদ্ধতি।
  23. সদস্যদের ভোটাধিকার।
  24. হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি।
  25. হিসাব নিরীক্ষা পদ্ধতি।
  26. হিসাব নিরীক্ষদের নাম ও ঠিকানা।
  27. লভ্যাংশ ঘোষনার নিয়ম।
  28. কোম্পানীর সীলমোহর রক্ষন ও তার ব্যবহার পদ্ধতি।
  29. ব্যাংকারের নাম ও ঠিকানা।
  30. কোম্পানী বিলোপসাধন পদ্ধতি ইত্যাদি।

স্মারক লিপি ও পরিমেল নিয়মাবলীর মধ্যে পার্থক্য

স্মারক লিপি ও পরিমেল নিয়মাবলীর মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা কর।
উত্তরঃ স্মারক লিপি ও পরিমেল নিয়মাবলী কোম্পানীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এদের বিহশয়বস্তুর মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও তাদের গটনরীতি, প্রকৃতি এবং ধারাভ সংযোজনসমূহের মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যায়। নিম্নে স্মারকলিপি ও পরিমেল নিয়মাবলীর মধ্যকার পার্থক্যসমূহ উল্লেখ করা হলঃ
১। সংগাঃ স্মারকলিপি- যে দলিলে যৌথমূলধনী কারবারের নাম, কার্যক্ষেত্র, উদ্দেশ্য, মূলধনের পরিমাণ, সদস্যদের দায় প্রভৃতি বিষয় লিপিবদ্ধ থাকে তাকে স্মারকলিপি বলে।
       পরিমেল নিয়মাবলীঃ যে দলিলে যৌথমূলধনী কারবারের আভ্যন্ত্রীণ কার্য পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়মাবলী লিপিবদ্ধ থাকে তাকে পরিমেল নিয়মাবলী বলে।
২। মর্যাদাঃ স্মারকলিপি কোম্পানীর মূখ্য দলিল।
       পরিমেল নিয়মবলী -পরিমেল নিয়মবলী কোম্পানীর গৌণ দলিল।
৩। সম্পর্কঃ  স্মারকলিপি-এর দ্বারা বহির্বিশ্বের সাথে কোম্পানীর সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
       পরিমেল নিয়মবলী- এর দ্বারা কোম্পানীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
৪। বিষয়বস্তুঃ স্মারকলিপি- এতে কোম্পানীর যাবতীয় বিষয়বস্তু সাধারণভাবে উল্লেখ করা হয়।
       পরিমেল নিয়মবলী- এতে কোম্পানীর যাবতীয় বিষয়বস্তুর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়।
৫। অপরিহার্যতাঃ স্মারকলিপি- সব ধরনের কোম্পানীর জন্য স্মারকলিপি অপরিহার্য।
       পরিমেল নিয়মবলী- সব ধরনের কোম্পানীর জন্য পরিমেল নিয়মাবলী অপরিহার্য নয়।
৬। নিবন্ধনঃ স্মারকলিপি- স্মারকলিপির নিবন্ধন সকল ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক।
       
পরিমেল নিয়মবলী- সকল ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়।
৭। পরিবর্তনঃ স্মারকলিপি- স্মারকলিপি সহজে পরিবর্তন করা যায় না।
      পরিমেল নিয়মাবলী অতি সহজে পরিবর্তন করা যায়।
৮। রচনার ভিত্তিঃ স্মারকলিপি- এটি কোম্পানী আইন অনুসারে রচিত হয়।
       পরিমেল নিয়মাবলী কোম্পানী আইন ও স্মারকলিপি অনুসারে রচিত হয়।
৯।  নিয়ন্ত্রণঃ স্মারকলিপি- কোম্পানী আইনের দ্বারা নিয়ন্তিত হয়।
         পরিমেল নিয়মাবলী কোম্পানী আইন ও স্মারকলিপি উভয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
১০। বিকল্পঃ স্মারকলিপির কোন বিকল্প নেই।
       পরিমেল নিয়মাবলীর বিকল্প আছে।